বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
প্রথম বিষয় যে:- ওযু ও সালাতের কোন বিশেষ করে মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত বলতে হবে ?
সমাধান :- না। কেননা,
নিয়ত হলো মনের ইচ্ছা।
আর মুখে নিয়ত পড়া বিদআত।
কেনো না আল্লাহর রসূল (সাঃ) করেনি ও করতে বলেনি।।
এবং,,
এভাবে, প্রত্যেকটা কাজের ইচ্ছা বা
সংকল্প করা হলো নিয়ত। তাই শুধু শুধু কষ্ট
করে মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত পড়তে হবে
না। আপনি কাজটা কেন করছেন, আল্লাহ
মনের খবর জানেন। "মানুষ তার নিয়ত
অনুযায়ী প্রতিদান পাবে।" (সহিহ বুখারি,
হাদিস নং ১)
মুখে নিয়ত পাঠ করা জঘন্যতম বিদআত।
❐ সবাই মনে রাখবেন,
দ্বীন (ইসলাম) হচ্ছে সহজ। (বুখারি ৩৯)
নিয়ত পড়তে হয় না। নিয়ত করতে হয়।
(বুখারি ১)।
সমাধান :- না। কেননা,
নিয়ত হলো মনের ইচ্ছা।
আর মুখে নিয়ত পড়া বিদআত।
কেনো না আল্লাহর রসূল (সাঃ) করেনি ও করতে বলেনি।।
এবং,,
এভাবে, প্রত্যেকটা কাজের ইচ্ছা বা
সংকল্প করা হলো নিয়ত। তাই শুধু শুধু কষ্ট
করে মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত পড়তে হবে
না। আপনি কাজটা কেন করছেন, আল্লাহ
মনের খবর জানেন। "মানুষ তার নিয়ত
অনুযায়ী প্রতিদান পাবে।" (সহিহ বুখারি,
হাদিস নং ১)
মুখে নিয়ত পাঠ করা জঘন্যতম বিদআত।
❐ সবাই মনে রাখবেন,
দ্বীন (ইসলাম) হচ্ছে সহজ। (বুখারি ৩৯)
নিয়ত পড়তে হয় না। নিয়ত করতে হয়।
(বুখারি ১)।
***(মূল বিষয় :- আপনি কোন সালাত আদায় করবেন ও কোন সালাতের পূর্বে ওযু করবেন।
মনের মধ্যে এই উদ্দেগ টাই নিয়ত। কষ্ট করে মুখে উচ্চারণ করে কোন বিশেষ নিয়ত নাই)***
মনের মধ্যে এই উদ্দেগ টাই নিয়ত। কষ্ট করে মুখে উচ্চারণ করে কোন বিশেষ নিয়ত নাই)***
এটা দীনের মধ্যে নতুন সৃষ্টি,,
তাই এটা প্রত্যাখ্যাত।
তাই এটা বাতিল করতে হবে।
এটা অাল্লাহর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন।
(মিশকাত হাদিস : ১৪০,বুখারী হাদিস : ২৬৯৭, ইবনে মাজাহ হাদিস : ১৪)
তাই এটা প্রত্যাখ্যাত।
তাই এটা বাতিল করতে হবে।
এটা অাল্লাহর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন।
(মিশকাত হাদিস : ১৪০,বুখারী হাদিস : ২৬৯৭, ইবনে মাজাহ হাদিস : ১৪)
সালাতের আবশ্যিক পূর্ব শর্ত হলো পবিত্রতা অর্জন করা।
নিশ্চয়ই আল্লাহ (অন্তর থেকে) তাওবাকারি ও (দৈহিক ভাবে) পবিত্রতা অর্জন কারিদের ভালবাসেন'' (সূরা বাকারা আয়াত ২২২)
অতএব, সালাত আদায় করতে হলে । পবিত্রতা অর্জন করতে হবে।
পবিত্রতা অর্জন হয় ওযু ও গোসল দারা।
পবিত্রতা অর্জন হয় ওযু ও গোসল দারা।
ওযু মানে হলো সচ্ছতা বা পবিত্রতা অর্জন করা।
একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে,,
যে ওযুর পূর্বে আল্লাহর নাম নাই মানে,, বিসমিল্লাহ বলা হয় না সেই ওযুে হয়না । ওযু হয়না মানে সালাত হয়না।।
যে ওযুর পূর্বে আল্লাহর নাম নাই মানে,, বিসমিল্লাহ বলা হয় না সেই ওযুে হয়না । ওযু হয়না মানে সালাত হয়না।।
রাসুল (সঃ) বলেছেনঃ ঐ ব্যক্তির সলাত হয় না যে (সঠিকভাবে) উযু করে না এবং ঐ ব্যক্তির উযু হয় না যে তাতে আল্লাহর নাম নেয় না।
(সুনানে আন-নাসায়ী)
(সুনানে আন-নাসায়ী)
***(মূল বিষয় যে আমাদের ওযু করার পূর্বে যেনও বিসমিল্লাহ বলি)***
১- নামাযী প্রথমে মনে মনে ওযুর নিয়ত করবে। কারণ নিয়ত ছাড়া কোন কর্মই শুদ্ধ হয় না। (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ১নং)
২- ‘বিসমিল্লাহ্’ বলে ওযু শুরু করবে। কারণ শুরুতে তা না বললে ওযু হয় না। (আবূদাঊদ, সুনান ৯২নং)
৩- তিনবার দুইহাত কব্জি পর্যন্ত ধুয়ে নেবে।হাতে ঘড়ি, চুড়ি, আংটি প্রভৃতি থাকলে তা হিলিয়ে তার তলে পানি পৌঁছাবে। আঙ্গুল দিয়ে আঙ্গুলের ফাঁকগুলো খেলাল করবে। (আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, ইবনে মাজাহ্, সুনান, মিশকাত ৪০৭নং) এরপর পানির পাত্রে হাত ডুবিয়ে পানি নিতে পারে। (বুখারী, মুসলিম, সহীহ ৩৯৪নং) প্রকাশ যে, নখে নখ পালিশ বা কোন প্রকার পুরু পেন্ট থাকলে তা তুলে না ফেলা পর্যন্ত ওযু হবে না। পক্ষান্তরে মেহেদী বা আলতা লেগে থাকা অবস্থায় ওযু-গোসল হয়ে যাবে।
৪- তারপর ডানহাতে পানি নিয়ে ৩ বার কুল্লি করবে।
৫-অতঃপর পানি নিয়ে নাকের গোড়ায় লাগিয়ে টেনে নিয়ে বামহাত দ্বারা নাক ঝাড়বে। এরুপ ৩ বার করবে। তবে রোযা অবস্থায় থাকলে সাবধানে নাকে পানি টানবে, যাতে গলার নিচে পানি না চলে যায়। (তিরমিযী, সুনান, নাসাঈ, সুনান ৮৯, মিশকাত ৪০৫, ৪১০নং)
অবশ্য এক লোট পানিতেই একই সাথে অর্ধেক দিয়ে কুল্লি করে বাকি অর্ধেক দিয়ে নাক ঝাড়লেও চলে। (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৩৯৪নং)
৬- অতঃপর মুখমন্ডল (এক কান থেকে অপর কানের মধ্যবর্তী এবং কপালের চুলের গোড়া থেকে দাড়ির নিচের অংশ পর্যন্ত অঙ্গ) ৩ বার পানি লাগিয়ে দুইহাত দ্বারা ধৌত করবে। (বুখারী ১৪০নং) এক লোট পানি দাড়ির মাঝে দিয়ে দাড়ির ফাঁকে ফাঁকে আঙ্গুল চালিয়ে তা খেলাল করবে। (আবূদাঊদ, সুনান, মিশকাত ৪০৮নং) মহিলাদের কপালে টিপ (?) থাকলে ছাড়িয়ে ফেলে (কপাল) ধুতে হবে। নচেৎ ওযু হবে না।
৭- অতঃপর প্রথমে ডানহাত আঙ্গুলের ডগা থেকে কনুই পর্যন্ত এবং তদনুরুপ বামহাত ৩ বার (প্রত্যেক বারে পুরোহাতে পানি ফিরিয়ে রগড়ে) ধৌত করবে।
৮- অতঃপর একবার মাথা মাসাহ্ করবে; নতুন পানি দ্বারা দুই হাতকে ভিজিয়ে আঙ্গুল গুলিকে মুখোমুখি করে মাথার সামনের দিক (যেখান থেকে চুল গজানো শুরু হয়েছে সেখান) থেকে পিছন দিক (গর্দানের যেখানে চুল শেষ হয়েছে সেখান) পর্যন্ত স্পর্শ করে পুনরায় সামনের দিকে নিয়ে এসে শুরুর জায়গা পর্যন্ত পূর্ণ মাথা মাসাহ্ করবে। (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৩৯৪নং) মাথায় পাগড়ি থাকলে তার উপরেও মাসাহ্ করবে। (মুসলিম, মিশকাত ৩৯৯নং)
৯- অতঃপর আর নতুন পানি না নিয়ে ঐ হাতেই দুই কান মাসাহ্ করবে; শাহাদতের (তর্জনী) দুই আঙ্গুল দ্বারা দুই কানের ভিতর দিক এবং দুই বুড়ো আঙ্গুল দ্বারা দুই কানের পিঠ ও বাহির দিক মাসাহ্ করবে। (আবূদাঊদ, সুনান ৯৯, ১২৫নং)
মূল বিষয় যে👇👇👇
****(প্রকাশ যে, গর্দান মাসাহ্ করা বিধেয় নয়। বরং এটা বিদআত)****
****(প্রকাশ যে, গর্দান মাসাহ্ করা বিধেয় নয়। বরং এটা বিদআত)****
১০- অতঃপর প্রথমে ডান পা ও পরে বাম পা গাঁট পর্যন্ত ৩ বার করে রগড়ে ধোবে। কড়ে আঙ্গুল দ্বারা পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকগুলো খেলাল করে রগড়ে ধৌত করবে। (আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, ইবনে মাজাহ্, সুনান, মিশকাত ৪০৭নং)
প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন, “পূর্ণাঙ্গরুপে ওযু কর, আঙ্গুলের ফাঁকগুলো খেলাল কর আর রোযা না থাকলে নাকে খুব ভালরুপে পানি চড়াও। (তারপর তা ঝেড়ে ফেলে উত্তমরুপে নাক সাফ কর।) (আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, নাসাঈ, সুনান, ইবনে মাজাহ্, সুনান, দারেমী, সুনান, মিশকাত ৪০৫-৪০৬ নং)
১১- এরপর হাতে পানি নিয়ে কাপড়ের উপর থেকে শরমগাহে ছিটিয়ে দেবে। বিশেষ করে পেশাব করার পর ওযু করলে এই আমল অধিকরুপে ব্যবহার্য। যেহেতু পেশাব করে তাহারতের পর দু-এক কাতরা পেশাব বের হওয়ার অসঅসা থাকে। সুতরাং পানি ছিটিয়ে দিলে ঐ অসঅসা দূর হয়ে যায়। (আবূদাঊদ, সুনান ১৫২-১৫৪, ইবনে মাজাহ্, সুনান ৩৭৪-৩৭৬নং) এই আমল খোদ জিবরাঈল (আঃ) মহানবী (সাঃ) কে শিক্ষা দিয়েছেন। (ইবনে মাজাহ্, সুনান, দারেমী, সুনান,হাকেম, মুস্তাদরাক, বায়হাকী, আহমাদ, মুসনাদ, সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ৮৪১নং)
মূল বিষয় যে,👇👇👇
*****(ওযুর গুরুত্ব ও সালাতে যাওয়ার পূর্বে করনিয়)*****
*****(ওযুর গুরুত্ব ও সালাতে যাওয়ার পূর্বে করনিয়)*****
হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা নামাযের জন্য প্রস্তুত হবে তখন তোমরা তোমাদের মুখমন্ডল ও হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করবে এবং তোমাদের মাথা মাসাহ্ করবে। আর পা দু’টিকে গাঁট পর্যন্ত ধৌত করবে। (কুরআন মাজীদ ৫/৬)
সুতরাং বড় নাপাকী না থাকার ফলে গোসলের দরকার না হলেও নামাযের জন্য ছোট নাপাকী থেকে পবিত্রতা অর্জনের উদ্দেশ্যে ওযু ফরয। এ ব্যাপারে মহানবী (সাঃ) ও বলেন, “ওযু নষ্ট হয়ে গেলে পুনরায় ওযু না করা পর্যন্ত আল্লাহ কারো নামায কবুল করেন না।” (বুখারী, মুসলিম, সহীহ মিশকাত ৩০০নং)
ওযুর মাহাত্ম ও ফযীলত প্রসঙ্গে একাধিক হাদীস বর্ণিত হয়েছে। এক হাদীসে তিনি বলেন, “কিয়ামতের দিন আমার উম্মতকে আহ্বান করা হবে; আর সেই সময় ওযুর ফলে তাদের মুখমন্ডল ও হাত-পা দীপ্তিময় থাকবে।” (বুখারী ১৩৬, মুসলিম, সহীহ ২৪৬নং)
অন্য এক হাদীসে তিনি বলেন, “ওযুর পানি যদ্দূর পৌঁছবে তদ্দূর মু’মিনের অঙ্গে অলঙ্কার (জ্যোতি) শোভমান হবে।” (মুসলিম, সহীহ ২৫০নং)
তিনি আরো বলেন, “মুসলিম বা মুমিন বান্দা যখন ওযুর উদ্দেশ্যে তার মুখমন্ডল ধৌত করে তখন ওযুর পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে প্রত্যেক সেই গুনাহ বের হয়ে যায় যা সে দুই চক্ষুর দৃষ্টির মাধ্যমে করে ফেলেছিল। অতঃপর যখন সে তারহাত দুটিকে ধৌত করে তখন পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে প্রত্যেক সেই গুনাহ বের হয়ে যায় যা সে উভয় হাতে ধারণ করার মাধ্যমে করে ফেলেছিল। অতঃপর যখন সে তার পা দুটিকে ধৌত করে তখন পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে প্রত্যেক সেই গুনাহ বের হয়ে যায় যা সে তার দুপায়ে চলার মাধ্যমে করে ফেলেছিল। শেষ অবধি সমস্ত গুনাহ থেকে সে পবিত্র হয়ে বের হয়ে আসে।” (মালেক, মুসলিম ২৪৪নং, তিরমিযী)
ওযুর কিছু মাসায়েল 👇👇👇
ওযুর অঙ্গগুলোকে কমপক্ষে ১ বার করে ধোয়া জরুরী। ২ বার করে ধুলেও চলে। তবে ৩ বার করে ধোয়াই উত্তম। এরই উপরে আল্লাহর রসূল (সাঃ) তথা সাহাবায়ে কেরামের আমল বেশী। কিন্তু তিনবারের অধিক ধোয়া অতিরঞ্জন, বাড়াবাড়ি ও সীমালংঘন করা। (আবূদাঊদ, সুনান, নাসাঈ, সুনান, ইবনে মাজাহ্, সুনান, মিশকাত ৪১৭-৪১৮ নং)
ওযুর কোন অঙ্গ ২ বার এবং কোন অঙ্গ ৩ বার ধোয়া দূষণীয় নয়। (সহীহ, আবূদাঊদ, সুনান ১০৯, সহীহ, তিরমিযী, সুনান ৪৩নং)
জোড়া অঙ্গগুলির ডান অঙ্গকে আগে ধোয়া রসূল (সাঃ) এর নির্দেশ। (আহমাদ, মুসনাদ, আবূ দাঊদ, সুনান, ইবনে মাজাহ্, সুনান, মিশকাত ৪০১নং) তিনি ওযু, গোসল, মাথা আঁচড়ানো, জুতো পরা প্রভৃতি সকল কাজের সময় ডান থেকে শুরু করা পছন্দ করতেন। (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৪০০নং)
*****মূল বিষয় যে👇👇👇
অঙ্গসমূহ এমনভাবে ধুতে হবে যাতে কোন সামান্য জায়গাও শুকনো থেকে না যায়। ওযুর অঙ্গে কোন প্রকার পানিরোধক বস্তু (যেমন পেন্ট, চুন, কুমকুম, অলঙ্কার, ঘড়ি, টিপ ইত্যাদি) থাকলে তা অবশ্যই দূর করে নিতে হবে। যেহেতু আল্লাহর নবী (সাঃ) একদা কতক লোকের শুষ্ক গোড়ালি দেখে বলেছিলেন, “গোড়ালিগুলোর জন্য দোযখে ধ্বংস ও সর্বনাশ রয়েছে! তোমরা ভালরুপে (সকল অঙ্গকে সম্পূর্ণরুপে) ধুয়ে ওযু কর।” (মুসলিম, মিশকাত ৩৯৮নং)
অঙ্গসমূহ এমনভাবে ধুতে হবে যাতে কোন সামান্য জায়গাও শুকনো থেকে না যায়। ওযুর অঙ্গে কোন প্রকার পানিরোধক বস্তু (যেমন পেন্ট, চুন, কুমকুম, অলঙ্কার, ঘড়ি, টিপ ইত্যাদি) থাকলে তা অবশ্যই দূর করে নিতে হবে। যেহেতু আল্লাহর নবী (সাঃ) একদা কতক লোকের শুষ্ক গোড়ালি দেখে বলেছিলেন, “গোড়ালিগুলোর জন্য দোযখে ধ্বংস ও সর্বনাশ রয়েছে! তোমরা ভালরুপে (সকল অঙ্গকে সম্পূর্ণরুপে) ধুয়ে ওযু কর।” (মুসলিম, মিশকাত ৩৯৮নং)
✓✓✓{{অতএব আমরা উত্তম রুপে ওযু করবো।
আমাদের লক্ষ রাখতে হবে যেন ওযু করতে কোন অংশ বাদ না পরে।
যেমন:- হাত ও পায়ের গোড়ালি
এ দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে বিশেষ করে।
আমাদের লক্ষ রাখতে হবে যেন ওযু করতে কোন অংশ বাদ না পরে।
যেমন:- হাত ও পায়ের গোড়ালি
এ দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে বিশেষ করে।
এক ব্যক্তিকে তিনি দেখলেন নামায পড়ছে, আর তার এক পায়ের পিঠে এক দিরহাম বরাবর স্থান শুষ্ক রয়েছে, যাতে সে পানিই পৌঁছায়নি। তিনি তাকে পুনরায় ওযু করে নতুনভাবে নামায পড়তে আদেশ দিলেন। (আবূদাঊদ, সুনান ১৬১ নং)}}✓✓✓
এটা অতিব জটিল বিষয় মনোযোগ এর সহিত ওযু সম্পূর্ণ করতে হবে।
এটা অতিব জটিল বিষয় মনোযোগ এর সহিত ওযু সম্পূর্ণ করতে হবে।
ওযু করার সময় নিরবচ্ছিন্নভাবে একটানা অঙ্গগুলোকে পর্যায়ক্রমে একের পর এক ধুতে হবে। মাঝে বিরতি দেওয়া বৈধ নয়। সুতরাং কেউ মাথা বা কান মাসাহ্ না করে ভুলে পা ধুয়ে ফেললে এবং সত্বর মনে পড়লে, সে মাসাহ্ করে পুনরায় পা ধোবে। বহু পরে মনে পড়লে পুনরায় নতুন করে ওযু করবে।
ওযুর শেষে ওযুর পানি অঙ্গ থেকে কাপড় দিয়ে মুছে ফেলা দূষণীয় নয়। মহানবী (সাঃ) ওযুর পর নিজের জুব্বায় নিজের চেহারা মুছেছেন। (ইবনে মাজাহ্, সুনান ৩৭৯নং) ওযূর পর পানি মুছার জন্য তাঁর একটি বস্ত্র খন্ড ছিল। (তিরমিযী, সুনান,হাকেম, মুস্তাদরাক, জামে ৪৮৩০নং)
অতএব একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে👇👇👇
ওযুর পর দুই রাকআত নামাযের বড় ফযীলত রয়েছে। আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেন, “যে কোন ব্যক্তি যখনই সুন্দরভাবে ওযু করে সবিনয়ে একাগ্রতার সাথে (কায়মনোবাক্যে) দুই রাকআত নামায পড়ে তক্ষণই তার জন্য জান্নাত অবধার্য হয়ে যায়।” (মুসলিম ২৩৪নং, আবু দাঊদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ্)
তিনি আরো বলেন, “যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে ওযু করে, কোন ভুল না করে ( একাগ্রচিত্তে) দুই রাকআত নামায পড়ে সেই ব্যক্তির পূর্বেকার সমূদয় গুনাহ মাফ হয়ে যায়।” (আবু দাঊদ, সহীহ তারগীব ২২১নং)
***ওযুর শেষে দোয়া ও তার ফযিলত***
প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন, “তোমাদের মধ্যে যে কেউই পরিপূর্ণরুপে ওযু করার পর (নিম্নের যিক্র) পড়ে তার জন্যই জান্নাতের আটটি দ্বার উন্মুক্ত করা হয়; যে দ্বার দিয়ে ইচ্ছা সে প্রবেশ করতে পারে।
أَشْهَدُ أَنْ لاَّ إِلهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ।
“আশহাদু আল লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু অহ্দাহু লা শারীকা লাহু অ আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু অরাসূলুহ্।”
অর্থাৎ, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য উপাস্য নেই। তিনি একক তাঁর কোন অংশী নেই। আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সাঃ) তাঁর বান্দা ও রসূল। (মুসলিম ২৩৪নং, আবু দাঊদ, ইবনে মাজাহ্)
তিরমিযীর বর্ণনায় এই দুআর শেষে নিম্নের অংশটিও যুক্ত আছে:-
اَللّهُمَّ اجْعَلْنِيْ مِنَ التَّوَّابِيْنَ، وَاجْعَلْنِيْ مِنَ الْمُتَطَهِّرِيْنَ।
উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মাজ আলনী মিনাত তাওয়াবীনা, অজ্আলনী মিনাল মুতাত্বাহ্হিরীন।
অর্থ:- হে আল্লাহ! আমাকে তওবাকারী ও পবিত্রতা অর্জনকারীদের দলভুক্ত কর। (মিশকাত ২৮৯নং)
ওযুর শেষে নিম্নের দুআ পাঠ করলে তা শুভ্র নিবন্ধে লিখে সীল করা হয় এবং কিয়ামত পর্যন্ত তা নষ্ট করা হয় না।
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَّ إِلهَ إِلاَّ أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوْبُ إِلَيْكَ।
“সুবহানাকাল্লা-হুম্মা অবিহামদিকা, আশহাদু আল লা ইলা-হা ইল্লা আন্ত , আস্তাগফিরুকা অ আতূবু ইলাইক।”
অর্থাৎ, তোমার সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করছি হে আল্লাহ! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে তুমিই একমাত্র সত্য উপাস্য। আমি তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি ও তোমার দিকে প্রত্যাবর্তন (তওবা) করছি। (ত্বাহাবী, সহিহ তারগিব ২১৮নং, ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ১/১৩৫, ৩/৯৪)
মূল বিষয় যে 👇👇👇
(এ ছাড়া প্রত্যেক অঙ্গ ধোয়ার সময় নির্দিষ্ট দুআ অথবা শেষে ‘ইন্না আনযালনা’ পাঠ বিদআত)
(এ ছাড়া প্রত্যেক অঙ্গ ধোয়ার সময় নির্দিষ্ট দুআ অথবা শেষে ‘ইন্না আনযালনা’ পাঠ বিদআত)
আমরা যেনো বিদআত পরিহার করি। ও সুন্নত মোতাবেক আমল করতে পারি ।
আল্লাহ আমাদের আমল গুলো কবুল করুন আমীন ছুম্মা আমীন ছুম্মা আমীন।
No comments:
Post a Comment