হায়েজের তিন দিনের কমে ও দশ দিনের উপরে এবং নেফাসের ৪০দিনের অতিরিক্ত দিনগুলোতে নারীর যৌনাঙ্গ থেকে যে রক্ত বের হলে সে রক্তকে ইস্তেহাযা বলে।
এ অবস্থায় তাকে প্রতি ওয়াক্ত নামাযের জন্য অজু করতে হবে এবং রোজার দিন হলে রোজা রাখতে হবে।
তার জন্য কিছুতেই নামায রোযা কাযা করার অনুমতী নাই।
এ অবস্থায় তাকে প্রতি ওয়াক্ত নামাযের জন্য অজু করতে হবে এবং রোজার দিন হলে রোজা রাখতে হবে।
তার জন্য কিছুতেই নামায রোযা কাযা করার অনুমতী নাই।
১ম হাদীস,
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَعَبْدَةُ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ جَاءَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي امْرَأَةٌ أُسْتَحَاضُ فَلاَ أَطْهُرُ أَفَأَدَعُ الصَّلاَةَ قَالَ ” لاَ إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ وَلَيْسَتْ بِالْحَيْضَةِ فَإِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَدَعِي الصَّلاَةَ وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ وَصَلِّي ” . قَالَ أَبُو مُعَاوِيَةَ فِي حَدِيثِهِ وَقَالَ ” تَوَضَّئِي لِكُلِّ صَلاَةٍ حَتَّى يَجِيءَ ذَلِكَ الْوَقْتُ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ جَاءَتْ فَاطِمَةُ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَهُوَ قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ . وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَمَالِكٌ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيُّ أَنَّ الْمُسْتَحَاضَةَ إِذَا جَاوَزَتْ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا اغْتَسَلَتْ وَتَوَضَّأَتْ لِكُلِّ صَلاَةٍ
অর্থ, আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণনা করেন যে, ফাতিমা বিনত আবী হুবায়শ নামক জনৈক মহিলা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সমীপে এসে বললেন যে, আল্লাহর রাসূল, আমি তো ইস্তিহাযায় আক্রান্ত একজন মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি সালাত ছেড়ে দিব কি? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয় বরং শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়যের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে ক‘দিন নামায ছেড়ে দিবে আর হায়যের দিনগুলো চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নিবে এবং সালাত আদায় করবে। রাবী আবূ মুআবিয়া তার রিওয়ায়াতে আরো উল্লেখ করেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ মহিলাকে বলেছিলেনঃ আরেক সালাতের ওয়াক্ত না আসা পর্যন্ত প্রতি ওয়াক্ত সালাতের জন্য উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে নিবে। –
এই বিষয়ে উম্মু সালমা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে ওহাদিস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী বলেনঃ আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণিত হাদিসটি হাসান ও সহীহ। এই হচ্ছে একধিক সাহাবী ও তাবিঈর বক্তব্য। সুফইয়ান ছাওরী, মালিক, ইবনুল মুবারক, শাফিঈ (রহঃ) ও এই অভিমত ব্যক্ত করে বলেনঃ হায়যের নির্ধরিত দিনগুলো অতিক্রমের পর ইসতিহাযায় আক্রান্ত মহিলা গোসল করবে এবং প্রত্যেক সালাতের জন্য অযু করবে।
তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১২৫ ,
এই বিষয়ে উম্মু সালমা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে ওহাদিস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী বলেনঃ আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণিত হাদিসটি হাসান ও সহীহ। এই হচ্ছে একধিক সাহাবী ও তাবিঈর বক্তব্য। সুফইয়ান ছাওরী, মালিক, ইবনুল মুবারক, শাফিঈ (রহঃ) ও এই অভিমত ব্যক্ত করে বলেনঃ হায়যের নির্ধরিত দিনগুলো অতিক্রমের পর ইসতিহাযায় আক্রান্ত মহিলা গোসল করবে এবং প্রত্যেক সালাতের জন্য অযু করবে।
তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১২৫ ,
২য় হাদীস,
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي الْيَقْظَانِ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ “ تَدَعُ الصَّلاَةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا الَّتِي كَانَتْ تَحِيضُ فِيهَا ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتَتَوَضَّأُ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ وَتَصُومُ وَتُصَلِّي ” .
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي الْيَقْظَانِ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ “ تَدَعُ الصَّلاَةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا الَّتِي كَانَتْ تَحِيضُ فِيهَا ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتَتَوَضَّأُ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ وَتَصُومُ وَتُصَلِّي ” .
অর্থ, কুতায়বা (রহঃ) আদী ইবনু ছাবিত তার পিতা পিতামত এর সূত্রে বর্ণনা করেন যে, ইসতিহাযায় আক্রান্ত মহিলা সম্পর্কে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, পূর্বে তার হায়যের যে নির্ধারিত দিনগুলি ছিল সেই দিনগুলির সালাত সে ছেড়ে দিবে। সে দিনগুলো অতিক্রান্ত হওয়ার পর সে গোসল করবে এবং প্রত্যেক সালাতের জন্য অযু করবে আর যথারীতি সিয়াম ও সালাত আদায় করতে থাকবে।
তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১২৬
তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১২৬
ইবনু মাজাহ ৬২১, (বুখারি ও মুসলিম)
No comments:
Post a Comment