আমীরুল মুমিনীন ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) সাহাবীদেরকে ৮ রাকাত তারাবীহ পড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন ??
.
আমীরুল মুমিনীন ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) এই সুন্নাতে নববীর উপরে আমল করতে গিয়ে নির্দেশ দেন
.
,أَنْ يَقُومَا لِلنَّاسِ بِإِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً
‘তারা যেন লোকদেরকে ১১ রাক‘আত পড়ায়’।
[মুয়াত্ত্বা ইমাম মালেক, পৃঃ ৯৮, অন্য সংস্করণ ১/১১৫, হা/২৪৯।]
ইমাম যিয়া আল-মাকদেসী এটাকে ছহীহ বলেছেন।
মুহাম্মাদ বিন আলী নিমবী এই বর্ণনা সম্পর্কে লিখেছেন, وإسناده صحيح ‘এর সনদ ছহীহ’।
[আছারুস সুনান হা/৭৭৬।]
মুয়াত্তা হা/ ২৪৯ যেই সনদে হাদীসটি উলেক্ষিত হয়েছে ঠিক একই সনদে সহীহ বুখারীতে ৩ টি সহীহ মুসলিমে ১ টি সুনান নাসাঈ ১ টি সুনান তিরমিযী ২ টি হাদিস নিয়েছেন
মুয়াত্তার সনদ হা/২৪৯ (عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ،)
সনদ সহীহ বুখারী হা/ ১৮৫৮ (عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، )
সনদ সহীহ বুখারী হা/ ২৮২৪ (عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، )
সনদ সহীহ বুখারী হা/ ৪০৬২ (عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ، قَالَ: سَمِعْتُ السَّائِبَ بْنَ يَزِيدَ)
সনদ সহীহ মুসলিম হা/ ১৫৬৮ (عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ، قَالَ: سَمِعْتُ السَّائِبَ بْنَ يَزِيدَ)
সনদ সুনান নাসাঈ হা/ ৪২৯৪ (عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ، عَنْ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ)
সনদ সুনান তিরমিযী হা/ ৯২৫ (عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ، عَنْ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ)
সনদ সুনান তিরমিযী হা/ ২১৬১ (عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ، عَنْ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ)
.
এখন যদি কেউ উপরের হাদিসকে জয়িফ বলে তাহলে তাকে সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিমের হাদিসকেও জয়িফ বলতে হবে!!
কেউ কি পারবেন?
.
এছাড়া একই সনদে অনেক মুহাদ্দিস হাদিস গ্রহণ করেছেন যেমন
সুনান নাসাঈ কুবরা হা/৪৬৬৩,৪৬৬৪,৪৬৭০,৪৭৮৭,
ত্বহাভী, শারহু মাআ’নিল আছার, হা/১৭৪১, তাবরানী কবীর হা/৬৬৭৮,৬৬৭৯,৫৭১,
বাইহাক্বী সুনানুল কুবরাহ হা/৬১৪০ ,
মারিফুস সুনান হা/৫৪১৩,
মুসনাদ আহমেদ হা/১৭২৫৯,
মুস্তাখরাজ আবী আওয়ানাঃ হা/৫২৭৭, ৫৭১১, তাবরানী কবীর হা/৪২৬২,
মাসুনাদুস শশী ১/১৬৪ পৃষ্ঠা,
এই হাদীছটি অস্যংখ্য গ্রন্থে বিদ্যমান আছে। যেমনঃ
(০১) শারহু মাআনিল আছার (১/২৯৩)। তিনি এর দ্বারা দলীল পেশ করেছেন।
(০২) হাফেয যিয়াউল মাক্বদেসী, আল-মুখতারাহ (কানযুল উম্মালের বরাতে হা/২৩৪৬৫)।
(০৩) বায়হাক্বী, মারিফাতুস সুনান ওয়াল আছার, (হা/১৩৬৬)।
(০৪) মারওয়াযী, ক্বিয়ামুল লাইল (পৃঃ ২০০)।
(০৫) মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক্ব (হা/২৩৪৬৫, কানযুল উম্মালের বরাতে)।
(০৬) মিশকাতুল মাছাবীহ (হা/১৩০২)।
(০৭) বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ (হা/৯৯০)।
(০৮) যাহাবী, আল-মুহাযযাব ফী ইখতিছারিস সুনান আল-কাবীর (২/৪৬১)।
(০৯) কানযুল উম্মাল (হা/২৩৪৬৫)।
(১০) নাসাঈ, আস-সুনানুল কুবরা (হা/৪৬৮৭)। এই ফারূক্বী বিধানটির সনদ একেবারেই ছহীহ।
উসূলে মুহাদ্দিদিন এবং হানাফী মুকাল্লিদের উসূল অনুযায়ী হাদীসটি সহীহ্
দলীল-০১ঃ এর সকল রাবী অত্যন্ত শক্তিশালী প্রকারের ছিক্বাহ রাবী।
দলীল-০২ঃ এই সনদের কোন রাবীর উপর কোন সমালোচনা নেই।
দলীল-০৩ঃ এই সনদের সাথে একটি হাদীছ ছহীহ বুখারীর ‘কিতাবুল হাজ্জ’ এর মধ্যেও বিদ্যমান আছে (হা/১৮৫৮)।
দলীল-০৪ঃ শাহ ওয়ালিউল্লাহ আদ-দেহলভী “আহলুল হাদীছ” হ’তে বর্ণনা করেছেন যে, মুয়াত্তার সকল হাদীছ ছহীহ (হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ ২/২৪১, উর্দূ)।
দলীল-০৫ঃ ত্বাহাবী হানাফী “সুতরাং প্রমাণ করছে” বলে এই আছারটি হুজ্জাত তথা দলীলস্বরূপ পেশ করেছেন (মাআনিল আছার, ১/১৯৩)।
দলীল-০৬ঃ যিয়াউল মাক্বদেসী ‘আল-মুখতারাহ’ গ্রন্থে এই আছারটি এনে নিজের কাছে এর ছহীহ হওয়া প্রমাণ করে দিয়েছেন (দেখুন: ইখতিছারু উলূমিল হাদীছ পৃঃ ৭৭)।
দলীল-০৭ঃ ইমাম তিরমিযী এরকম একটি সনদ সম্পর্কে বলেছেন, “হাসান ছহীহ (হা/৯২৬)।”
দলীল-০৮ঃ এই রেওয়ায়াতটিকে পূর্বেবর্তীদের মধ্য হ’তে কোন একজন মুহাদ্দিছও যঈফ বলেন নি।
দলীল-০৯ঃ আল্লামাহ বাজী এই আছারটিকে গ্রহণ করেছেন (মুয়াত্তা, শারহুয যুরক্বানী, হা/২৪৯)।
দলীল-১০ঃ প্রসিদ্ধ গায়ের আহলেহাদীছ মুহাম্মাদ বিন আলী আন-নিমাবী (মৃঃ ১৩২২ হিঃ) এই বর্ণনা সম্পর্কে বলেছেন, এর সনদটি ছহীহ (আছারুস সুনান পৃঃ ২৫০)।
সুতরাং কতিপয় গোড়া লোকদের পনেরোশ শতাব্দীতে একে মুযত্বারিব বলা বাতিল এবং ভিত্তিহীন।
.
আমীরুল মুমিনীন ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) এই সুন্নাতে নববীর উপরে আমল করতে গিয়ে নির্দেশ দেন
.
,أَنْ يَقُومَا لِلنَّاسِ بِإِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً
‘তারা যেন লোকদেরকে ১১ রাক‘আত পড়ায়’।
[মুয়াত্ত্বা ইমাম মালেক, পৃঃ ৯৮, অন্য সংস্করণ ১/১১৫, হা/২৪৯।]
ইমাম যিয়া আল-মাকদেসী এটাকে ছহীহ বলেছেন।
মুহাম্মাদ বিন আলী নিমবী এই বর্ণনা সম্পর্কে লিখেছেন, وإسناده صحيح ‘এর সনদ ছহীহ’।
[আছারুস সুনান হা/৭৭৬।]
মুয়াত্তা হা/ ২৪৯ যেই সনদে হাদীসটি উলেক্ষিত হয়েছে ঠিক একই সনদে সহীহ বুখারীতে ৩ টি সহীহ মুসলিমে ১ টি সুনান নাসাঈ ১ টি সুনান তিরমিযী ২ টি হাদিস নিয়েছেন
মুয়াত্তার সনদ হা/২৪৯ (عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ،)
সনদ সহীহ বুখারী হা/ ১৮৫৮ (عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، )
সনদ সহীহ বুখারী হা/ ২৮২৪ (عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، )
সনদ সহীহ বুখারী হা/ ৪০৬২ (عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ، قَالَ: سَمِعْتُ السَّائِبَ بْنَ يَزِيدَ)
সনদ সহীহ মুসলিম হা/ ১৫৬৮ (عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ، قَالَ: سَمِعْتُ السَّائِبَ بْنَ يَزِيدَ)
সনদ সুনান নাসাঈ হা/ ৪২৯৪ (عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ، عَنْ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ)
সনদ সুনান তিরমিযী হা/ ৯২৫ (عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ، عَنْ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ)
সনদ সুনান তিরমিযী হা/ ২১৬১ (عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ، عَنْ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ)
.
এখন যদি কেউ উপরের হাদিসকে জয়িফ বলে তাহলে তাকে সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিমের হাদিসকেও জয়িফ বলতে হবে!!
কেউ কি পারবেন?
.
এছাড়া একই সনদে অনেক মুহাদ্দিস হাদিস গ্রহণ করেছেন যেমন
সুনান নাসাঈ কুবরা হা/৪৬৬৩,৪৬৬৪,৪৬৭০,৪৭৮৭,
ত্বহাভী, শারহু মাআ’নিল আছার, হা/১৭৪১, তাবরানী কবীর হা/৬৬৭৮,৬৬৭৯,৫৭১,
বাইহাক্বী সুনানুল কুবরাহ হা/৬১৪০ ,
মারিফুস সুনান হা/৫৪১৩,
মুসনাদ আহমেদ হা/১৭২৫৯,
মুস্তাখরাজ আবী আওয়ানাঃ হা/৫২৭৭, ৫৭১১, তাবরানী কবীর হা/৪২৬২,
মাসুনাদুস শশী ১/১৬৪ পৃষ্ঠা,
এই হাদীছটি অস্যংখ্য গ্রন্থে বিদ্যমান আছে। যেমনঃ
(০১) শারহু মাআনিল আছার (১/২৯৩)। তিনি এর দ্বারা দলীল পেশ করেছেন।
(০২) হাফেয যিয়াউল মাক্বদেসী, আল-মুখতারাহ (কানযুল উম্মালের বরাতে হা/২৩৪৬৫)।
(০৩) বায়হাক্বী, মারিফাতুস সুনান ওয়াল আছার, (হা/১৩৬৬)।
(০৪) মারওয়াযী, ক্বিয়ামুল লাইল (পৃঃ ২০০)।
(০৫) মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক্ব (হা/২৩৪৬৫, কানযুল উম্মালের বরাতে)।
(০৬) মিশকাতুল মাছাবীহ (হা/১৩০২)।
(০৭) বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ (হা/৯৯০)।
(০৮) যাহাবী, আল-মুহাযযাব ফী ইখতিছারিস সুনান আল-কাবীর (২/৪৬১)।
(০৯) কানযুল উম্মাল (হা/২৩৪৬৫)।
(১০) নাসাঈ, আস-সুনানুল কুবরা (হা/৪৬৮৭)। এই ফারূক্বী বিধানটির সনদ একেবারেই ছহীহ।
উসূলে মুহাদ্দিদিন এবং হানাফী মুকাল্লিদের উসূল অনুযায়ী হাদীসটি সহীহ্
দলীল-০১ঃ এর সকল রাবী অত্যন্ত শক্তিশালী প্রকারের ছিক্বাহ রাবী।
দলীল-০২ঃ এই সনদের কোন রাবীর উপর কোন সমালোচনা নেই।
দলীল-০৩ঃ এই সনদের সাথে একটি হাদীছ ছহীহ বুখারীর ‘কিতাবুল হাজ্জ’ এর মধ্যেও বিদ্যমান আছে (হা/১৮৫৮)।
দলীল-০৪ঃ শাহ ওয়ালিউল্লাহ আদ-দেহলভী “আহলুল হাদীছ” হ’তে বর্ণনা করেছেন যে, মুয়াত্তার সকল হাদীছ ছহীহ (হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ ২/২৪১, উর্দূ)।
দলীল-০৫ঃ ত্বাহাবী হানাফী “সুতরাং প্রমাণ করছে” বলে এই আছারটি হুজ্জাত তথা দলীলস্বরূপ পেশ করেছেন (মাআনিল আছার, ১/১৯৩)।
দলীল-০৬ঃ যিয়াউল মাক্বদেসী ‘আল-মুখতারাহ’ গ্রন্থে এই আছারটি এনে নিজের কাছে এর ছহীহ হওয়া প্রমাণ করে দিয়েছেন (দেখুন: ইখতিছারু উলূমিল হাদীছ পৃঃ ৭৭)।
দলীল-০৭ঃ ইমাম তিরমিযী এরকম একটি সনদ সম্পর্কে বলেছেন, “হাসান ছহীহ (হা/৯২৬)।”
দলীল-০৮ঃ এই রেওয়ায়াতটিকে পূর্বেবর্তীদের মধ্য হ’তে কোন একজন মুহাদ্দিছও যঈফ বলেন নি।
দলীল-০৯ঃ আল্লামাহ বাজী এই আছারটিকে গ্রহণ করেছেন (মুয়াত্তা, শারহুয যুরক্বানী, হা/২৪৯)।
দলীল-১০ঃ প্রসিদ্ধ গায়ের আহলেহাদীছ মুহাম্মাদ বিন আলী আন-নিমাবী (মৃঃ ১৩২২ হিঃ) এই বর্ণনা সম্পর্কে বলেছেন, এর সনদটি ছহীহ (আছারুস সুনান পৃঃ ২৫০)।
সুতরাং কতিপয় গোড়া লোকদের পনেরোশ শতাব্দীতে একে মুযত্বারিব বলা বাতিল এবং ভিত্তিহীন।
No comments:
Post a Comment