Friday, May 3, 2019

একই দিনে সিয়াম-ঈদ পালনে বিন বায রঃ এর ফতুয়া


#সৌদী গ্রান্ড মুফতী আবুদুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায বলেনঃ

"সঠিক কথা হল চাঁদ দেখার নির্ভরযোগ্যতা। এ বিষয়ে উদয়ের ভিন্নতার গ্রহণযোগ্যতা নেই। কেননা নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চাঁদ দেখার নির্ভর যোগ্যতার নির্দেশ দিয়েছেন এর মধ্যে কোন ভিন্নতার কথা বলেন নি।"

"كيف يصوم الناس إذا اختلفت المطالع ؟ وهل يلزم أهل البلاد البعيدة كأمريكا واستراليا أن يصوموا على رؤية أهل المملكة لأنهم لا يتراءون الهلال؟

চন্দ্র উদয় স্থলের বিভিন্নতা থাকায় মানুষ কিভাবে রোযা পলন করবে? আমেরিকা ও অষ্ট্রেলিয়ার মত দূরবর্তী দেশের বাসিন্দারা কি সৌদি আরবের লোকদের চাঁদ দেখার ভিত্তিতে রোযা রাখবে? যদিও তারা চাঁদ দেখে নি?

الجواب: الصواب اعتماد الرؤية وعدم اعتبار اختلاف المطالع في ذلك لأن النبي صلى الله عليه وسلم أمر باعتماد الرؤية ولم يفصل في ذلك فيما صح عنه صلى الله عليه وسلم أنه قال : ্রصوموا لرؤيته ، وأفطروا لرؤيته ، فإن غم عليكم فكملوا العدة ثلاثينগ্ধ متفق على صحته ، وقوله صلى الله عليه وسلم : ্রلا تصوموا حتى تروا الهلال أو تكملوا العدة، ولا تفطروا حتى تروا الهلال أو تكملوا العدةগ্ধ والأحاديث في هذا المعنى كثيرة . ولم يشر صلى الله عليه وسلم إلى اختلاف المطالع، وهو يعلم ذلك.

সঠিক কথা হল চাঁদ দেখার নির্ভরযোগ্যতা। এ বিষয়ে উদয়ের ভিন্নতার গ্রহণযোগ্যতা নেই। কেননা নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চাঁদ দেখার নির্ভর যোগ্যতার নির্দেশ দিয়েছেন এর মধ্যে কোন ভিন্নতার কথা বলেন নি। সহী হাদীসে এসেছে তিনি ইরশাদ করেন :- চাঁদ দেখার ভিত্তিতে তোমরা রোযা রাখ এবং চাঁদ দেখার ভিত্তিতে তোমরা রোযা ভাঙ্গ (ঈদ কর)। যদি চাঁদ তোমাদের কাছে অদৃশ্য থাকে তা হলে চান্দ্রমাসকে ত্রিশ দিনে পূর্ণ কর।

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো ইরশাদ করেন :- রোযা রাখবে না, যতক্ষণ না নতুন চাঁদ দেখবে অথবা মেয়াদ পূর্ণ করবে। রোযা ভাঙ্গবে না, যতক্ষণ না নতুন চাঁদ দেখবে অথবা মেয়াদ পূর্ণ করবে। এ বিষয়ে অসংখ্য হাদীস রয়েছে যেগুলোতে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চাঁদ উদয় স্থলের ভিন্নতা জানা সত্তে¡ও ভিন্নতা গ্রহণের কোন ইঙ্গিত দেন নি।

অত্র বিষয়ে ইবনে বা’য তার মাজমুয়ায়ে ফাতওয়ায় আরো লিখেছেন-

والذي يظهر لي أن اختلافها لا يؤثر وأن الواجب هو العمل برؤية الهلال صوما وإفطارا وتضحية متى ثبتت رؤيته ثبوتا شرعيا في أي بلد ما؛ لعموم الأحاديث كما تقدم، وهو قول جمع كثير من أهل العلم. ]مجموع فتاوى ابن باز جزءا – (১৫ / ৭৯)[

অর্থাৎ- আমার মত হলো, নিশ্চয়ই নতুন চাঁদ উদয়ের ভৌগলিক ভিন্নতা গ্রহণীয় নয়। বরং যে কোন দেশে নতুন চাঁদ দেখার দ্বারা সকলের উপরই রোযা, ঈদ, কুরবানীর আ’মল ওয়াজিব হবে। এটা পূর্বে আলোচিত হাদীস সমূহের সাধারণ সম্বোধন দ্বারা সাব্যস্ত। আর এটা ওলামাগনের বিশাল এক জামায়াতের সিদ্ধান্ত।


No comments:

Post a Comment

বাচ্চাদের প্রাথমিক রুকইয়াহ ও বিধিনিষেধ

প্রাথমিক রুকইয়াহ পদ্ধতিঃ  ১।   মানুষ ও জ্বীনের বদনজর ও জ্বীনের আছর থেকে হিফাযত ও শিফার নিয়তে - দুরুদে ইব্রাহিম, সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি,...