যদি কেউ দাঁড়াতে সক্ষম না হয় তাহলে সে বসে নামাজ আদায় করবে। বসতে সক্ষম না হলে শুয়ে নামাজ আদায় করতে হবে। বসে নামাজ আদায় করা মানেই জমিনে, ফ্লোরে বসে আদায় করা। বুখারি শরিফসহ হাদিসের বিভিন্ন কিতাবে রয়েছে, সওয়ারি থেকে পড়ে হজরত মুহাম্মদ (সা.) আহত হয়েছিলেন, তখন তিনি জমিনে বসে নামাজ আদায় করেছেন। নবীর যুগেও কিন্তু চেয়ার বা চেয়ার সদৃশ বস্তু ছিল। নবী করিম (সা.) মাজুর অবস্থায় চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করেননি। হজরত ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) বলেন, আমি হজরত মুহাম্মদ (সা.)কে অসুস্থ ব্যক্তির নামাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করবে। তা সম্ভব না হলে বসে। তাও সম্ভব না হলে শুয়ে নামাজ আদায় করবে। (বুখারি ১/১৫০ তিরমিজি ১/৮৫) এ হাদিস দ্বারাও বোঝা যায়, দাঁড়াতে সক্ষম না হলে (জমিনে) বসে তাও সম্ভব না হলে শুয়ে নামাজ আদায় করতে হবে। সুতরাং হাদিস থেকে স্পষ্ট হয়ে উঠে, চেয়ারে বসে নামাজ কোনো অবস্থাতেই সহি নয়।
সুতরাং যিনি দাঁড়াতে সক্ষম কিন্তু নিয়ম মতো, রুকু সিজদা করতে অক্ষম তিনি দাঁড়িয়ে-ইশারা করে নামাজ আদায় করবেন। চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করলে সহি হবে না। (বাদায়ে ১/২৮৬)
যারা দাঁড়াতে ও রুকু সিজদা করতে অক্ষম তারা জমিনে বসে ইশারায় নামাজ আদায় করবেন। তাশাহুদের নিয়মে বসতে না পারলে যেভাবে বসতে পারেন সেভাবেই বসবেন। চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করলে নামাজ সহি হবে না।
কোনোভাবে বসতে না পারলে শুয়ে নামাজ আদায় করতে হবে। চেয়ারে বসে নয়।
★★★
অসুস্থ ব্যক্তির সালাত আদায়ঃ
অসুস্থ ব্যক্তির উপর ওয়াজিব হল-ফরয সালাত দাড়িয়ে আদায় করা। যদিও কিছুটা বাকা হয়ে দাঁড়াক বা কোন দেয়ালে হেলান দিয়ে কিংবা লাঠি ভর দিয়ে।যদি কোন ভাবেই দাঁড়াতে সক্ষম না হয় তবে বসে সালাত আদায় করবে। উত্তম হলো দাঁড়ানো ও রুকু অবস্থার ক্ষেত্রে চারজানু হয়ে বসবে।
(আরকানুল ইসলাম বঙ্গঃ ৩১৬ পৃঃ)
মুহাম্মদ বিন আত তুয়াইজুরি বলেন যদি দাড়িয়ে না পারে তবে চতুষ্পদ (চারজানু) হয়ে বসে বা তাশহুদের বৈঠকের ন্যায় বসে। তাও যদি না পারে তবে ডান পার্শে¦র উপর হয়ে। এও যদি কষ্টকর হয় তবে বাম পার্শ্বের উপর হয়ে আদায় করবে। এ ভাবেও যদি না পারে তবে কিবলার দিকে পা করে চিত হয়ে শুয়ে মাথা দ্বারা বুকের দিকে ইশারা করত রুকু ও সেজদা করবে। সেজদাকে রুকুর চেয়ে বেশি নিচু করবে, যদি ইশারা করতে সক্ষম না হয় তবে মনে মনে সালাত আদায় করবে,মুখে তাকবীর বলবে, কির‘আত পাঠ করবে এবং দাঁড়ানো , রুকু করা সিজদা করা, তাশাহুদে বসা ইত্যাদি মনে মনে নিয়্যত করবে। কেননা প্রত্যেক ব্যক্তি তাই পাবে যার সে নিয়্যত করে। (কোরআন সুন্নাহর আলোকে ফিকাহ ২/২১পৃঃ;আরকানুল ইসলাম বঙ্গঃ ৩১৬ পৃঃ)
অসুস্থ ব্যক্তি দাড়াতে না পারলে বা অসুখ বৃদ্ধি আশঙ্কা থাকলে বসে, শুয়ে বা কাত হয়ে সালাত আদায় করতে পারবে। ইমরান ইবনে হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বাওয়াসারী রুগী ছিলাম। সালাত প্রসঙ্গে নবী করিম (ছাঃ) এর নিকট জিজ্ঞাসা করলাম, তখন তিনি বললেন,দাড়িয়ে আদায় করতে পারলে দাড়িয়ে আদায় করো, বসে আদায় করতে পারলে বসে আদায় করো অথবা শুয়ে আদায় করতে পারলে শুয়ে আদায় করো।(বুখারী; মুসলিম হা/১২৪৮)।
সহীহ দলিল:-
সিজদার সময় সামনে বালিশ, টুল বা অন্য কিছুর ওপর মাথা ঠেকিয়ে সিজদাহ দেওয়া যাবে না। আব্দুলাহ ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) এক রুগীকে দেখতে যান রুগীটি বালিশের ওপর সালাত আদায় করছিলেন। তিনি বালিশটি ফেলে দেন। তারপর রুগীটি সালাত আদায়ের জন্য একটি কাঠ নেন তিনি কাঠটিও ফেলে দেন এবং বলেন, সক্ষম হলে মাটির ওপরে সালাত আদায় কর। নচেৎ ইশারা দ্বারা সালাত আদায় কর। এবং রুকুর তুলনায় সাজদাহয় অধিকতর ঝুকে পড়। (বাযযার, তাবারানী, বায়হাক্বী, সিলসিলা সহিহা হা/৩২৩)।
আত্বা (রাঃ) বলে, ক্বিবলার দিকে মুখ ফিরাতে অক্ষম ব্যক্তি যেদিকে সম্ভব সেদিকে মুখ করে সালাত আদায় করবে। (বুখারী, বঙ্গানুবাদ বুখারী হা/-১১১৭, আঃ প্রকাশ)।
আনাস (রাঃ) বলেন,রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কিছু রোগীর কাছে গেলেন যারা বসে বসে সালাত আদায় করছিলেন। তিনি বলেন বসে সালাত আদায় করলে দাঁড়িয়ে করার অর্ধেক সওয়াব।
(আহমদ ও ইবনে মাজাহ,সনদ সহীহ: রাসূলুল্লাহ নামায পৃঃ৪৮)।
অসুস্থ ব্যক্তি যতদিন সুস্থ না হবে ততদিন ওয়াক্তের সালাত একসঙ্গে করে পড়তে পারবেন। দুই ওয়াক্তের সালাতকে জমা করে পড়বেন। যোহরকে বিলম্ব করে এবং আসরকে এগিয়ে নিয়ে একত্রে পড়তে হবে। অনুরুপ মাগরীবকে দেরি করে এবং ঈশাকে এগিয়ে নিয়ে একত্রে পড়তে হবে।
(বঙ্গানুবাদ বুখারী হা/ ১১১২ আঃ প্রকাশ)।
আর বিবেক থাকা পর্যন্ত কোন ক্রমে সালাত মাফ নেই। (চেয়ারে,টুল বা উচু স্থানে বসে সালাত আদায় করার কোন মাসয়ালা বা দলীল পাওয়া যায়না; অতএব এ থেকে বিরত থাকা উত্তম এবং গুনাহ বা বিদ‘আত মুক্ত থাকা যায়)
সুতরাং যিনি দাঁড়াতে সক্ষম কিন্তু নিয়ম মতো, রুকু সিজদা করতে অক্ষম তিনি দাঁড়িয়ে-ইশারা করে নামাজ আদায় করবেন। চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করলে সহি হবে না। (বাদায়ে ১/২৮৬)
যারা দাঁড়াতে ও রুকু সিজদা করতে অক্ষম তারা জমিনে বসে ইশারায় নামাজ আদায় করবেন। তাশাহুদের নিয়মে বসতে না পারলে যেভাবে বসতে পারেন সেভাবেই বসবেন। চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করলে নামাজ সহি হবে না।
কোনোভাবে বসতে না পারলে শুয়ে নামাজ আদায় করতে হবে। চেয়ারে বসে নয়।
★★★
অসুস্থ ব্যক্তির সালাত আদায়ঃ
অসুস্থ ব্যক্তির উপর ওয়াজিব হল-ফরয সালাত দাড়িয়ে আদায় করা। যদিও কিছুটা বাকা হয়ে দাঁড়াক বা কোন দেয়ালে হেলান দিয়ে কিংবা লাঠি ভর দিয়ে।যদি কোন ভাবেই দাঁড়াতে সক্ষম না হয় তবে বসে সালাত আদায় করবে। উত্তম হলো দাঁড়ানো ও রুকু অবস্থার ক্ষেত্রে চারজানু হয়ে বসবে।
(আরকানুল ইসলাম বঙ্গঃ ৩১৬ পৃঃ)
মুহাম্মদ বিন আত তুয়াইজুরি বলেন যদি দাড়িয়ে না পারে তবে চতুষ্পদ (চারজানু) হয়ে বসে বা তাশহুদের বৈঠকের ন্যায় বসে। তাও যদি না পারে তবে ডান পার্শে¦র উপর হয়ে। এও যদি কষ্টকর হয় তবে বাম পার্শ্বের উপর হয়ে আদায় করবে। এ ভাবেও যদি না পারে তবে কিবলার দিকে পা করে চিত হয়ে শুয়ে মাথা দ্বারা বুকের দিকে ইশারা করত রুকু ও সেজদা করবে। সেজদাকে রুকুর চেয়ে বেশি নিচু করবে, যদি ইশারা করতে সক্ষম না হয় তবে মনে মনে সালাত আদায় করবে,মুখে তাকবীর বলবে, কির‘আত পাঠ করবে এবং দাঁড়ানো , রুকু করা সিজদা করা, তাশাহুদে বসা ইত্যাদি মনে মনে নিয়্যত করবে। কেননা প্রত্যেক ব্যক্তি তাই পাবে যার সে নিয়্যত করে। (কোরআন সুন্নাহর আলোকে ফিকাহ ২/২১পৃঃ;আরকানুল ইসলাম বঙ্গঃ ৩১৬ পৃঃ)
অসুস্থ ব্যক্তি দাড়াতে না পারলে বা অসুখ বৃদ্ধি আশঙ্কা থাকলে বসে, শুয়ে বা কাত হয়ে সালাত আদায় করতে পারবে। ইমরান ইবনে হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বাওয়াসারী রুগী ছিলাম। সালাত প্রসঙ্গে নবী করিম (ছাঃ) এর নিকট জিজ্ঞাসা করলাম, তখন তিনি বললেন,দাড়িয়ে আদায় করতে পারলে দাড়িয়ে আদায় করো, বসে আদায় করতে পারলে বসে আদায় করো অথবা শুয়ে আদায় করতে পারলে শুয়ে আদায় করো।(বুখারী; মুসলিম হা/১২৪৮)।
সহীহ দলিল:-
সিজদার সময় সামনে বালিশ, টুল বা অন্য কিছুর ওপর মাথা ঠেকিয়ে সিজদাহ দেওয়া যাবে না। আব্দুলাহ ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) এক রুগীকে দেখতে যান রুগীটি বালিশের ওপর সালাত আদায় করছিলেন। তিনি বালিশটি ফেলে দেন। তারপর রুগীটি সালাত আদায়ের জন্য একটি কাঠ নেন তিনি কাঠটিও ফেলে দেন এবং বলেন, সক্ষম হলে মাটির ওপরে সালাত আদায় কর। নচেৎ ইশারা দ্বারা সালাত আদায় কর। এবং রুকুর তুলনায় সাজদাহয় অধিকতর ঝুকে পড়। (বাযযার, তাবারানী, বায়হাক্বী, সিলসিলা সহিহা হা/৩২৩)।
আত্বা (রাঃ) বলে, ক্বিবলার দিকে মুখ ফিরাতে অক্ষম ব্যক্তি যেদিকে সম্ভব সেদিকে মুখ করে সালাত আদায় করবে। (বুখারী, বঙ্গানুবাদ বুখারী হা/-১১১৭, আঃ প্রকাশ)।
আনাস (রাঃ) বলেন,রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কিছু রোগীর কাছে গেলেন যারা বসে বসে সালাত আদায় করছিলেন। তিনি বলেন বসে সালাত আদায় করলে দাঁড়িয়ে করার অর্ধেক সওয়াব।
(আহমদ ও ইবনে মাজাহ,সনদ সহীহ: রাসূলুল্লাহ নামায পৃঃ৪৮)।
অসুস্থ ব্যক্তি যতদিন সুস্থ না হবে ততদিন ওয়াক্তের সালাত একসঙ্গে করে পড়তে পারবেন। দুই ওয়াক্তের সালাতকে জমা করে পড়বেন। যোহরকে বিলম্ব করে এবং আসরকে এগিয়ে নিয়ে একত্রে পড়তে হবে। অনুরুপ মাগরীবকে দেরি করে এবং ঈশাকে এগিয়ে নিয়ে একত্রে পড়তে হবে।
(বঙ্গানুবাদ বুখারী হা/ ১১১২ আঃ প্রকাশ)।
আর বিবেক থাকা পর্যন্ত কোন ক্রমে সালাত মাফ নেই। (চেয়ারে,টুল বা উচু স্থানে বসে সালাত আদায় করার কোন মাসয়ালা বা দলীল পাওয়া যায়না; অতএব এ থেকে বিরত থাকা উত্তম এবং গুনাহ বা বিদ‘আত মুক্ত থাকা যায়)
No comments:
Post a Comment